Team Rapture Facts
অভিষেক আহমেদ:
- কোনকিছু জানা দরকার, ফোনে ইন্টারনেট নেই? গুগলে খুঁজে পাচ্ছ না? ... অভিষেক স্যার এর কাছে যাও, সংগা সহ উদাহরণ পেয়ে যাবা |
- অভিষেক স্যার এর ফোনে যেকোনো এপয়েন্টমেন্ট এর এল্যার্ম ঘটনার কয়েকদিন আগে বাজে, যখনি স্যার বলবেন “তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করো, আমাদের হাতে বেশি সময় নেই”- তবে বুঝতে হবে একচুয়াল ডেডলাইন আসতে মাসখানেক বাকি আছে |
- অভিষেক স্যার গুগল আর ইউটিউব এর উপর যে পরিমান নির্যাতন করেন, উনি আমেরিকার বাসিন্দা হলে গুগল অবশ্যই উনার হাত ঘড়িতে সার্চ আর ইউটিউব ক্লায়েন্ট এর ব্যবস্থা করে দিত |
তামিম তাম:
- আজরাইল ফেরেস্তা এবং দুঃখ-কষ্টের ফেরেস্তা দুনিয়ার একমাত্র এই পাবলিককে কষ্ট/অশান্তি দিয়ে মজা পান না, প্রাইভেট কারের নিচে পড়ে পা ভাঙ্গলেও সে “২০১০ মডেলের প্রিমিও গাড়ির চাকা এর নিচে পড়ে পা ভাংসে !!”- ভেবে খুশি থাকবে |
- দুনিয়ার সবচেয়ে বড় গ্রাফিক্স ডিজাইন ফার্মে তামিম এর কোটি টাকা সেলারি এর চাকরি না পাওয়ার পেছনে একটাই যুক্তি থাকতে পারে, ও তার বাসার “ডেস্কটপ” ছাড়া আর কোথাও গিয়ে কাজ করতে রাজি না হওয়া |
সহিদুল ইসলাম:
উনার বহু ঘটনা আছে, মাত্র কয়েকটা শেয়ার করলাম:
- শিশির দিনে মাত্র তিনটা কাজ করে,
১. কাজ করা (software development, film making),
২. মুভি দেখা .... আর
৩. আলসেমি করা
- খিলক্ষেতে (শিশির এর বাসা যেখানে) কোনো কমিউনিটি সেন্টারে যদি আমার বিয়ের প্রোগ্রাম না করি তাহলে শিশিরের না আসার সম্ভাবনা ১০০%,
- সবাই মিলে কোনো প্রজেক্ট করার খাতিরে একসাথে থাকার সময় শিশির সবকিছুর জন্য টেনসন করার গুরু-দায়িত্ব নেয়, যেমন
১. অভিষেক স্যার এর মোবাইলের ব্যান্ডউইদ্থ শেষ হয়ে গেলো কি না,
২. প্রজেক্টে ডিবাগ করার সময় কোনো রানটাইম এরর দিলো কি না,
৩. ভিডিও রেন্ডারিং এর সময় কম্পিউটার এর প্রসেসর ১০০% ইউজ হয় কি না,
৪. তামিম ছবি তোলার সময় লেন্সের সামনে দিয়ে কোনো মাছি উড়ে গেলো কি না,
৫. আমি হাটার সময় মাথায় কিছুর সাথে বাড়ি লাগলো কি না,
৬. টাকা-পয়সা শেষ হয়ে গেলো কি না! ইত্যাদি ইত্যাদি ...
পারভেজ রশিদ:
- আমাদের ডিকসনারিতে “নেগোসিয়েশন” শব্দের মানে হলো “যা পারভেজ স্যার করেন” | এপল স্টোরে গিয়ে ৪৯৯ ডলারের আইফোনও উনি ৪৫০ ডলারে নিয়ে আসার সামর্থ রাখেন, অবশ্যই “নেগোসিয়েট” করে!
- আমরা কোড করি উপর থেকে নিচে, বাম থেকে ডানে এবং আগে কোড করি, পরে রান+ডিবাগ করি, আর পারভেজ স্যার আগে রান+ডিবাগ করেন, তারপর নিচ থেকে শুরু করে ডান থেকে বামে- এভাবে উপরে গিয়ে কোড শেষ করে প্রজেক্ট এর ইতি টানেন | অনেক কঠিন ভাবে কথাটা বললাম, আসলে উনার চোখ ভালো, অনেক দুরের জিনিস দেখেন, মাঝে মাঝে অবশ্য ব্রিজকে ট্রাক মনে করে সাইড দিয়ে দেন, এই আরকি!
মোহাম্মদ আরিফ:
- যদিও উনি দাবি করেন (যদিও কখনো জিগ্যেস করিনি !!) উনি ভাবির সাথে বসে বসে সারাদিন হিন্দী টিভি সিরিয়াল দেখেন না, তবে উনার হিন্দী বলা দেখলে সেটা বিশ্বাস করা কঠিন |
- তিন কেজি উজন বাড়তে আমার তিন বছর লাগলেও, মাত্র দুই দিনের নোটিসে জনি ভাই উনার ভুরি ৩ ইঞ্চি কমিয়ে আনতে পারেন!
মোস্তাকিম আলী (এইবার নিজের ঢোলেই কিছু পিটাই):
- যদিও অন্যদের আলসেমি নিয়ে অনেক কিছুই বলে, তবে অলিম্পিকে গেলে আইলসামির গোল্ড, সিলভার আর ব্রোঞ্জ মেডেলগুলো মোস্তাকিম এর গলায় আর দুই হাতে থাকবে |
- Team Rapture Facts নোটটা লেখার পড় বাকি সবাইকে সুযুগ পেলেই হুমকি দেয় যে "এটা কর, নইলে তোর নামে আরেকটা এন্ট্রি হবে", (আজকে তামিমকে দিসি একটু আলসেমি করার চেষ্টা করার কারণে),
যত যাই বলি না কেন, এক্স-কোডে কোনো এপল ম্যাচ-ও-লিঙ্কার “এরর” দিলে, ব্যাকাপ থেকে রিস্টোর না করে এরর সলভ করতে পারলে যেরকম খুশি লাগে, ঠিক সেরকম খুশি লাগে উপরোক্ত বান্দাদের সাথে দেখা হলে | আল্লাহ উনাদের সবাইকে আমার চেয়ে ১ দিনের হলেও বেশি হায়াত দিন (বেশি দুয়া করলাম না, যদি লাইগা যায় !! তাইলে তো লস! আমি মিস করবো)
Originally appeared on my Facebook profile